Thursday, April 15, 2010

এখোনো পিঞ্জর






.....................,


ভেবেছিলাম বছরের প্রথম দিনটায় একটা মস্ত-বড় চিঠি লিখবো তোমায়,অথচ দিন গড়িয়ে রাত্রি এলো গাঢ়,আমার কিছুই হ'লো নানা চিঠি,না ভালবাসাআজ আবার একটা নতুন বছর তার পরিপূর্ণতা নিয়ে ঢ'লে পড়ছে আবার একঘেয়েমিতে...তা পড়ুকআমার একঘ্নী জীবনে তার কোনো মূল্য নেই তেমনআমার সেই একঘেয়ে দশটা আর পাঁচটার বিবর্ণতাই সত্যি হয়ে থাকঠিক যে'রম সত্যি তোমার চলে যাওয়াদাঁড় ছেড়ে উড়ে যাওয়া সেই লালম'ন,হীরেম'ন ফেলে যায় রূপকথা যেমতি


আমার এক আধবুড়ি গানের দিদিমণি ছিলোমাঝে মাঝে সন্ধ্যের ঝোঁকে গুনগুন করে গেয়ে উঠত পিলুতে,"কেনো এলে অবেলায়,পরাণপ্রিয়,"শুনেছি কেউ কোনোদিন নাকি ভালবাসেনি তাকেআমার মন খারাপ হোতোভাবতাম "আহারে..."
আজকাল আমিও লোডশেডিং এর অন্ধকারে ছাদে ঘুরঘুর করিকেন যেন মনে হয়,আমবাগানের ঠিক পিছনটাতেই একটা মস্ত বড় নদী আছেতার মনখারাপ রঙের জলে থমকে থাকে তারার আলোনদী দিয়ে ভেসে যায় লন্ঠন-জ্বলা নৌকোটিভেসে আসে ভেজা ভেজা সুর ভাটিয়ালি

ছাদের উপর সেই নারকেল গাছের সেই পাতাগুলো একই রকম আছেঝিরঝিরে বাতাস ও দেয় বেশআমি পাঁচিলে পিঠ দিয়ে বসে গুনগুন করে উঠি "পরাণপ্রিয়..........."

আচ্ছা,বলতে পারো আমার তো ভালবাসার অভাব থাকার কথা নয়তাহলে কেন শরীর জুড়ে জড়িয়ে থাকে এই নির্বেদ?এখন কি খাঁচা রয়ে গ্যালো কোথাও???আমার ও কি তবে পায়ের শিকল ঘুচলো না????


~যুঁথী

Saturday, April 10, 2010

অগ্রন্থিতঃ১



বৈশাখী,সুপর্ণা ইত্যাদি
স্টপেজ পেরিয়ে অতয়েব
সরীসৃপ এই মফস্বঃল।
বাঁদিকে মোড় ঘুরে সমতালিক
মিষ্টান্ন ভান্ডার।
আর চারতলার বিছানায়
অশক্ত বৃদ্ধার রাজপাট-
মহাকাশ-যানের ক্লান্তি আজও
প্রদক্ষিণ ঘর-কন্না-ঘর-কন্না-ঘর
এবং তেপান্তর
আজও স্বপ্নলীন…

এসব পুর’নো শব্দে বাচালতা
অনেকেই পুরুষ জেনেছে বহুকাল।
অনেক পুরুষই বেহদ ভুলেছে
ধলেশ্বরীসম।
নিছক ও নিপাট গ্রাম,
ঘন নাভিদেশে
চৈত্র রেখে গ্যাছে
সীমিত পাঁজরের খেলা,
অভিযান।



Thursday, April 8, 2010

আবার খুকির জন্যে...


















(৫৬)

মেঘের বুকে ঘুমিয়ে ছিলো খুকি,
আমার ঘরে তখন বাউল মাস,
পরের এঁটো থালায় বেড়েছিলাম
ক্ষিদেয় ক্ষিদেয় খুকির পরবাস।

(৫৭)


খুকির থালায় গরম ভাতে নুন,
নুন গলেছে চোখের জল বেয়ে,
দেয় প্রতিদিন খাওয়ার খোঁটা যারা,
বাড়ুক তারা খুকির এঁটো খেয়ে।

(৫৮)

খুকির মেঘে, খুকির বরোষায়
বাড়তে থাকে বিষণ্ণতার ঘোর
খুকির ব্যাগ-এ বাড়ির কাজের খাতায়,
ঘুমিয়ে গ্যাছে স্কুল-কিশোরীর ভোর।


(৫৯)

ভোরের মানে খুকির চোখের পাতায়
বসত করে মন-খারাপের বাড়ি,
আমার খুকির বয়ঃসন্ধি জুড়ে
ভালোবাসার সঙ্গে ভীষণ আড়ি।

(৬০)

খুকি আমার অন্ধ চোখের নেশায়,
এবং নেশার গল্পে অলৌকিক
কালও যারা শত্রু ছিলো খুকির,
আজকে তারাই খুকির বৈবাহিক।

Sunday, April 4, 2010

জ্বরের উপাখ্যান.........:২












কিছু কিছু শব্দ আছে,যারা বস্তুতঃ পূর্বজন্মের....এমন কিছু কিছু অলস দুপুর থাকে,যার রৌদ্রে আমি কোনো মহাজাগতিক উষ্ঞতা পাই না।আমার অনেকাংশে অকেজো শরীর জড়িয়ে ধরতে থাকে শীতের বেশুমার ঠান্ডা হাত।উত্তরের বাঁশবন থেকে ভেসে আসে ঘুঘুর একটানা ডাক-ঘু.....ঘু........ঘুঘুর.....ঘু.....চোখ-গেল র কান্না,শুকনো পাতা উড়িয়ে নেওয়া বাতাসের মর্মর
এই সব ধ্বনি-প্রতিধ্বনি চেতনায় নিয়ে আমি ফের ঘুমে ডুবে যেতে যেতে ভাবি,তোমার অজগর ভালোবাসা কখন যেন আমার কলম-টুকুও কেড়ে নিয়েছে,আর আমি তা বুঝতেও পারিনি............


জ্বরের উপাখ্যান............:1


আসলে এশহর হল বেবাক রাংতা-মোড়া এক উলিঝুলি পাগল।নিছক পাগল কি নিছক শহর নয় হে,এ এক বেশুমার রঙ্গ।সেদিন অনেক হেঁটেছি চৌরঙ্গী,পার্ক স্ট্রীট এ।অবশেষে সন্ধ্যে এল।নিউ মার্কেট এর উলটো দিকে তখন ভীষণ সবুজ ময়দান,রাস্তায় শান্‌দার ভিড়... আর আকাশে হয়তো মেঘ ছিল...

আমি নিস্পৃহ মাতালের মত বৃষ্টি খুঁজেছি আজ,তারপর ক্লান্ত গলির মোড়ে ফিরে এসেছি অনিবার্য্যতায়.. এতো তুমি জানোই,কত বছরের হাওয়ায় হাওয়ায় আমি খুঁজে ফিরেছি তোমার উপত্যকা......তোমার কফি-কাপ এ লেগে থাকা তোমার ঠোঁটের উষ্ণতা...তোমার অন্ধকার নিবিড়তম...বহু বহু দিনের পিছন থেকে সেই সব গলে যাওয়া সময়ের হাড়-মজ্জা ছুঁয়ে দিল আমার সোনাঝুরি বন...


এসব অহেতুক মূর্চ্ছনা সমূহে বিভ্রম ঢেকে দেয় আমার...সোডিয়াম ভেপারের হলুদ আলোয় তোমার দীর্ঘদেহী ছায়া সিগারেট ধরিয়ে বাঁক ঘোরে...আমিও বৈধ চিনির স্বাদ জিভে নিয়ে পাশ ফিরি ঘুমের একান্তে...