Saturday, December 4, 2010

লোপামুদ্রা ও অন্যান্য


(৮)ভাদ্র

আঁকড়ে ধরছি আষ্টেপৃষ্টে
মহতী ঝাঁপতাল।
এসব কিছুই অবাধ্য নয়
বিচিত্রিতা,
আমাদেরও বসতবাটী
তলিয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিজলে,
তলিয়ে যাচ্ছি মাদকজলে
অক্ষমতায়...


(৯) আশ্বিন

অ্যান্টেনা জাপটে ধরেছে
পাইকারী মেঘের ছানাকে,
মৌতাত ভেঙ্গে যায়
ভোররাতে...
বিদগ্ধ বায়স ফিসফিসে
রেডিও এফ.এম.এ
খুঁজে পেলো সোনাকাঠি,
পায়সের ঘ্রাণ।


(১০) কার্তিক

আলগোছে ফেলে গ্যাছো
চন্দ্রকেতু গড়।
চেনাপথে ধূলো মেখে
ঘাসের গোপনে খেলেছি
পুতুল হয়ে,
বিকেলের ছায়ার পিছনে
ফ্রেম ভেঙ্গে চক্রবালে হেঁটে যান
রামকিংকর।


(১১) অঘ্রাণ
চোখের অতলে জ্বলে
কুয়াশার দীপ।
আড্ডাও জমে ওঠে
ম্যাপ্‌ল সন্ধ্যেয়।
কুয়াশার পরতে পরতে
জমে ওঠে
বিশিষ্ট পিপাসা।
সুদর্শিনী ডুব দেয়
সোনালি বালুতে।

(১২)পৌষ

সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলো
সরীসৃপ আলো ও ছায়া।
সিনেম্যাটিক রুক্ষতায়
আবার উচাটন চৌরঙ্গী।

রূপটান ভুলে গিয়ে
কোলকাতা ফের গলিত
ঈশ্বর সমীপে.....

(১৩)মাঘ

গাছের হৃদয় নিয়ে
একদা খেলেছে,
আসলে বোঝেনি,
"বহুদূর" বলে কোনো
গন্তব্য নেই,
যে টুকু যা আছে,সবই
সঞ্চিত ব্যাথা,
ঘুমের মুখোশে।

(১৪)তামামী

বইয়ের তাকে জমে
উঠছে মেঘ,
একদিন ঋতুচক্র শেষে
পাশাপাশি হেঁটে যাবে
গ্রীষ্ম ও শীত।
বেহায়া উদ্বাস্তু কিছু শব্দের ভিড়
ছুঁয়ে থাক কালো-
কলঙ্কের.........


বিশুদ্ধতা অ আমরা ১


শারীরিক সুতোয় উপকথা
জড়িয়েছে বিরহ-যাপন।
অথৈ জলময় ঐশ্বরিক ক্ষণে
জন্ম নিল প্রাগৈতিহাসিক।
আমি ও আমার সঙ্গোপন
আজ ও যন্ত্রণা কিনি।
চটচটে ঠোঁটে জড়ো করি
চিনির বৈধ স্বাদ।

এই ভাবে কেটে যায়
মারুসিয়ার বেশ কিছু রাত্রি-দিন।
আসলে ও বৃষ্টি ভুগছে
ছেলেবেলা থেকে।

আমার মুষ্টিতে নক্ষত্রের জীবনীপঞ্জি
আমার মৃদঙ্গে গান্ধর্ব তাল...
আমিও জ্যোচ্ছনা মেয়ে
বিনষ্ট শব্দমালা কবিতার...

তোমারো তো দিগন্ত থাকে
অপ্রকাশিত গ্রন্থাবলী
চুল ছুঁয়ে নামে লোভী জলকণা...
লোভ থাক...
আমি তো তেমন কেশবতী নই
শিয়রে জ্বালিয়ে রাখি স্তব্ধ মানিক
এখনো আমার ছোঁয়া হিম
এখনো সর্পবিষ হিম
সিঁড়ি দিয়ে প্রত্যহ নেমে যায়
অজস্র পাতাল

ছায়াপথ, তোমার ঘুমন্ত শিথানে
আমি নিভু নিভু দীপশিখা হয়ে জেগে থাকি

সারা রাত......