(১) এইখানে সীমান্তের কাঁটাতার
শেষ।এরপর অলি-গলি
পাড়া-বেপাড়ায় ডানা
ছড়িয়েছে কিছু আরশিনগর।
পাঁচিলে পাঁচিলে জ্বলে ওঠে
রবীন্দ্র-সন্ধ্যা,আনাজের শেকড়-বাকড়
শেষ হয় আমাদের ক্লান্ত ভ্রমণ।
(২) নামে সন্ধ্যা আপেল-বাগানে ।
আলোরা ঘুমতে যায় গৌর বর্ণ ।
আমাদের মজে যাওয়া
রোমকূপ জুড়ে অতঃপর
মধুপুষ্প,কুহকের মাস।
আমাদের দীর্ঘদেহী সুপুরুষ ছায়া
খুঁজে নিয়ে আঙ্গিনায় ফিরেছে
ভ্রমর।
(৩) অ্যাকোয়ারিয়ামের শেষ কিছু দিনে,
আমাদের কান্না শেখানো হয়,
শেখানো হয় যেসব দিশ্-দিগরে
হাজার বছর বৃষ্টি হয়নি,
কিভাবে সেখানে জলতল
ধরে রাখতে হবে প্রাসঙ্গিকতায়।
(৪) নীলমাছ আর মেঠোবাঁশির গন্ডিতে
ডুবেই যেতো অই দুই বোন।
রোজ রাতে,ভাতে জ্যোৎস্না
মেখে খেতো।আজকাল তাই
জল নষ্ট হতে দেখলে
বড় ভয় করে।
(৫) আয়নাপ্রসঙ্গ ও আরশিনগর
বহুকাল ভুলেছে শ্রাবণ।
এখানে ইদানিং জিরিয়ে নিচ্ছে
বিষণ্ণ সেল্সম্যান।
বোনেদের গেরস্থালি,স্টিলের বাসন,
বাদ্যযন্ত্র,শিশুটিও ভেসে গ্যাছে
সুবর্ণরেখায়।।
besh hoyechhe lekha gulo
ReplyDelete